হয় চাকরী না হয় স্বেচ্ছামৃত‍্যু - দাবী নিয়ে আন্দোলনে টেট উত্তীর্ণরা

28th July 2021 10:32 pm বাঁকুড়া
হয় চাকরী না হয় স্বেচ্ছামৃত‍্যু - দাবী নিয়ে আন্দোলনে টেট উত্তীর্ণরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বাঁকুড়া ) : 'হয় চাকরী দিন, নয় স্বেচ্ছা মৃত্যুর অনুমতি দিন' দাবী করে আন্দোলনে নামলে টেট উর্ত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরীপ্রার্থীরা। বুধবার প্লেকার্ড হাতে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হলেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁদের তরফে এক প্রতিনিধি দল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কার্যালয়ে গিয়ে তাঁদের দাবিপত্র তুলে দেন।

     আন্দোলনকারী চাকরী প্রার্থীদের দাবি, আমরা ২০১৪ সালের টেট উর্ত্তীর্ণ ও অন্তর্ভূক্ত না হওয়া প্রার্থী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ১১ নভেম্বর, ২০২০ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ২০১৪-র টেট উর্ত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণায় আমরা ও আমাদের পরিবার আশার আলো দেখেছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার! আজও আমরা নিয়োগপত্র পেলামনা। সারা রাজ্যে এই নিয়োগপত্র না পাওয়ার সংখ্যা যেখানে ৮ হাজার, শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলাতেই সেই সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এই মুহূর্তে অনেকের সরকারী চাকরীর বয়সের সময়সীমা অতিক্রম করতে চলেছে। এই অবস্থায় তাঁরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বলে জানান। একই সঙ্গে চাকরী না দিতে পারলে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক বলে আন্দোলনকারীরা দাবি তুলেছেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।